মারজিয়া প্রভা

নারীবাদী একটিভিস্ট। রাজনৈতিক মতাদর্শে একজন স্বাধীন সমাজতন্ত্রী নারীবাদী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করি৷ স্কুল কলেজ লাইফে লেখালিখির সংগে যুক্ত থাকলেও, নারীদের অধিকার নিয়ে লেখালিখি করার জন্য ২o১৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারীদের জন্য অনলাইন পোর্টাল Women Chapter এর সংগে যুক্ত হই। এর পাশাপাশি ২o১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিকার নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেটে মাসিক বিষয়টিকে স্বীকৃত দেওয়া ও মাসিক সুরক্ষা সামগ্রীর পণ্যায়ন বন্ধ করে সব নারীর কাছে পৌঁছে দিতে সামাজিক আন্দোলন করছি। সেই উপলক্ষে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম নামে একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এর আহবায়ক হিসেবে যুক্ত রয়েছি। ২o১৮ সালে দক্ষিণ এশীয় নারীবাদী নেটওয়ার্কে সাংগাত থেকে ফেলোশিপ পেয়েছি। বাংলাদেশে নারীবাদের আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। পরিবারের প্রেশারে আ্যরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও কাজকর্মে উন্নয়ন সেক্টরেই নিজেকে পরিবর্তন করেছি। বর্তমানে একটি মানবাধিকার সংস্থায় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি গা থেকে ইঞ্জিনিয়ার তকমা মুছতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে স্নাতোকত্তর শেষ করেছি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে নারীবাদ এবং নারীর অধিকার বিষয়ক নিয়ে লেখালিখি করেছি। নারীবাদ নিয়ে রাজনৈতিক লেখালিখি এবং একটিভিজমের বদৌলতে বিলকিসের সংগে যুক্ত হয়েছি। পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে মানুষের স্বাধীন সংহতিপূর্ণ একটি সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি।

রাকিবুল রাকিব

সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি পাশ করেছি, এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ বর্ষে আছি। নৃবিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব ও ধর্ম পড়তে ভালো লাগে, সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। গল্প লিখি, কিন্তু প্রকাশ করিনা। সিনেমা ও বই রিভিউ লিখি। ‘সংবিৎ’ নামে একটা বৃদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন করি। ‘কণ্ঠ’ নামে একটা পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম।

দিলশানা পারুল

বিলকিসের স্বত্বাধিকারী ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছি ১৪ বছর হলো। পেশায় গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রফেশনাল, বর্তমানে একটি দেশীয় উন্নয়ন সংস্থায় উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছি। রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ততা ছাত্র বয়স থেকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহবায়ক ছিলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে দুইবার। বিভিন্ন পোর্টাল এবং পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করার চেষ্টা করি। এর বাইরে উচ্চাঙ্গ নৃত্য শিখেছি একটু-আধটু, আবৃত্তি করি নিজের শখে। দিনে কম করে হলেও একটা মুভি দেখতে হয়, এক বেলা ভাত খাবার মতো করে ।

ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী, লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের সমতায় বিশ্বাসী। নারীর সমান অংশগ্রহণ ছাড়া সমতা সম্ভব না। সমাজ পরিবর্তন ছাড়া নারীর অবস্থান পরিবর্তন সম্ভব না। আর রাজনীতি ছাড়া সমাজ পরিবর্তন সম্ভব না। সেই প্রয়োজন সামনে রেখেই বিলকিসের পথচলা । বিলকিস রাজনৈতিক নারীকে সামনে আনতে চায়, নারীর রাজনীতিকে সামনে আনতে চায়। বিলকিসের মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক নারীর কথাগুলো বলতে চাই।